Wellcome to National Portal
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ মে ২০২২

এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র :

 

সমাজসেবা অধিদফতর সারাদেশের এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের যুগোপোযোগি বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এসব কেন্দ্রে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে ১৫-২৫ বছর বয়সি এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েরা যুগোপযোগি কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন হওয়ার সুযোগ লাভ করছে। ফলে তারা সমাজ ও পরিবারের বোঝা ও করুনার পাত্র না হয়ে নিজেরাই স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থীদের চাকরি ও স্ব-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমাজে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে দেশের ০৬ বিভাগে ০৬টি এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য নিম্নবর্ণিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

 

(ক)  এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিবগঞ্জ,বগুড়া আসন সংখ্যা=১০০ জন।

(খ)  এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আশাশুনি, সাতক্ষীরা আসন সংখ্যা=১০০ জন।

(গ)  এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সদর, পটুয়াখালী আসন সংখ্যা=১০০ জন।

(ঘ)  এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সদর, মৌলভীবাজার আসন সংখ্যা=১০০ জন।

(ঙ) এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিবচর, মাদারীপুর আসন সংখ্যা=১০০ জন।

(চ)  এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দাউদকান্দি, কুমিল্লা আসন সংখ্যা=১০০ জন।

 

 লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

১. ১৫-২৫ বছর বয়সি এতিম ও প্রতিবন্ধীদের বিদ্যমান চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদানপূর্বক দক্ষ জনশক্তিতে পরিণতকরণ। 

২. এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের মধ্যে যারা পড়াশুনায় অনগ্রসর তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান।  

৩. প্রশিক্ষণার্থীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৪. সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও খেলাধুলার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের দৈহিক ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনে সহায়তা  করা। 

৫. সাংবিধানিক অঙ্গীকার , শিশু আইন এবং জাতিসংঘ ঘোষিত শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী প্রশিক্ষণার্থী এতিম ও প্রতিবন্ধীদের পরিপূর্ণ বিকাশের সুযোগ প্রদান।

৬. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক উপার্জনমূখী কাজে পুঁজি সরবরাহের জন্য সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান এবং প্রয়োজনে অনুদানের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থাকরণ: পুজি সংস্থানের জন্য স্থানীয় রিসোর্সকে গুরুত্ব প্রদান ।

৭. এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে যুগোপযোগী বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানপূর্বক আত্মনির্ভরশীল  হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে সমাজের মেইনস্ট্রীমে (মূল স্রোতে) অন্তর্ভূক্ত করে দারিদ্র্য বিমোচন করা এবং যোগ্যতানুসারে বিদেশে কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাকরণ।

 লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠী:

সমাজসেবা অধিদফতরাধীন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসবাসরত ১৫-২৫ বছর বয়সী এতিম ও  প্রতিবন্ধী  এবং ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ( ১৫-২৫) বয়সক্রমে অনিবাসী এতিম/দুঃস্থ এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়ে।

প্রশিক্ষণ কোর্সের  বিবরণ:

 

কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ মডিউল অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ট্রেডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

ক্রমিক নং

ট্রেড/অকুপেশনের নাম

ছেলে/মেয়ে/উভয়

যোগ্যতা

ছেলে/মেয়ে/উভয়

যোগ্যতা

ক. ফিটার খ. ওয়েল্ডার

গ. অটোমোবাইল

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গ. অটোমোবাইল 

গ. অটোমোবাইল 

ছেলে

এস এস সি

ছেলে

 

ড্রেস মেকিং ও টেইলারিং

ছেলে

জে এস সি

ছেলে

 

ক. এ্যাম্ব্রয়ডারী 

খ. জুট ব্রাগ অ্যান্ড বক্স মেকিং,

গ. ব্লক বাটিক অ্যান্ড স্ক্রীন  প্রিন্টিং,

ঘ. বিউটিফিকেশন

ঙ. হেয়ার কাটিং

ছেলে

জে এস সি

জে এস সি

জে এস সি

এস এস সি

জে এস সি

ছেলে

 

 উড ওয়ার্কস ও উড কার্ভিং

 

জে এস সি

 

 

ক. আইটি সাপোর্ট 

খ. গ্রাফিক্স ডিজাইন

 মেয়ে

এইচ এস সি

এইচ এস সি

 

কম্পিইটারে সাধারণ জ্ঞান আবশ্যক

ক. রেডিও অ্যান্ড টিভি সার্ভিসিং

খ. ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স গ. ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স ( সিভিল কন্সট্রাকশন) ঘ. লিফট মেইনটেন্যান্স

উভয় 

এস এস সি

 

 

পশু ও হাঁসমুরগী পালন

মেয়ে

জে এস সি

 

 

ক. কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন 

খ. মোবাইল ফোন সার্ভিসিং

গ. কমার্শিয়াল আর্টিষ্ট

ঘ. কার ড্রাইভিং

মেয়ে

এস এস সি

 

 

 

 

 

 

 

ভর্তির যোগ্যতা:

১. বিভিন্ন জেলার সরকারি শিশু পরিবার/প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ায় অনগ্রসর নিবাসিদের মধ্য হতে প্রতি বছর প্রশিক্ষণার্থী বাছাইপূর্বক কেন্দ্রে আবাসিক নিবাসি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হবে তৎসহ প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পন্ন অনিবাসী অস্বচ্ছল এতিম/দুঃস্থ ছেলেমেয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। 

২. প্রশিক্ষণার্থী নিবাসির বয়সসীমা  সর্বনিম্ন ১৫ বৎসর এবং সর্ব্বোচ্চ ২৫ বৎসর হতে হবে।

৩. সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত সরকারি শিশু পরিবার ও প্রতিবন্ধী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিবাসিরা অগ্রাধিকার পাবে;

৪. প্রশিক্ষণার্থী নিবাসিদের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ হতে হবে। প্রয়োজনবোধে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা যেতে পারে;

৫. ভর্তি ইচ্ছুক প্রার্থীদের নির্ধারিত ভর্তি ফরমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র প্রধান বরাবর আবেদন  করতে হবে। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রচার, স্থানীয় টিভি চ্যানেলে নির্ধারিত সময়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবেন।

৬. সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র প্রধান ভর্তি কমিটির মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির আনুষ্ঠানিকতা  চূড়ান্ত করবেন ;

৭. ভর্তিকৃত প্রশিক্ষণার্থীদেরকে কেন্দ্রের আইন শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে;

৮.  যদি কেউ নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজ করে, সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাসহ অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে;

৯. প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর জন্য একটি ব্যক্তিগত নথি এবং কেইস হিস্টরি সংরক্ষণ করতে হবে ও

১০. প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণার্থীর অবশ্যই প্রতিবন্ধী নিবন্ধন থাকতে হবে। এতিমদের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ( নূন্যতম ইউপি চেয়ারম্যান) এতিম/দুঃস্থ হিসেবে প্রত্যয়ন করবেন। 

 

 আবাসিক  প্রশিক্ষণার্থীদের  সুযোগ সুবিধা:

১. প্রশিক্ষণের মেয়াদকাল পর্যন্ত বিনামূল্যে হোস্টেলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা।

২. বিনামূল্যে প্রশিক্ষণার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা।

৩. খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা।

৫. পাঠাগারে বইপত্র পড়ার সুযোগ সুবিধা। 

৬. প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিষ্ঠানে অবস্থানের মেয়াদ কোর্স প্রতি  ৬ মাস ( প্রয়োজনে কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদনক্রমে একই কোর্সে ৬ মাস সময় বৃদ্ধি করা যাবে।

৭. প্রযোজ্য উৎসব সমূহে নতুন পোষাক প্রদান।

 


সংশ্লিষ্ট আইন/বিধি/ নীতিমালা:

১.  এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাস্তবায়ন নীতিমালা-২০১৩

২. শিশু আইন ২০১৩

 


বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ:

০১      জেনারেল ম্যানেজার (উপপরিচালক)               

০২      সহকারী  জেনারেল ম্যানেজার (সহকারী পরিচালক)        

 

 

 

 

 

 

 

 

সরকারি শিশু পরিবার

পিতৃমাতৃহীন বা পিতৃহীন এতিম শিশুদের ভরণপোষণ, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং উপযুক্ত মর্যাদায় সমাজে পুনর্বাসনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে সরকারি শিশু পরিবার পরিচালনা করছে।

কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ:

সমাজসেবা অধিদফতরের প্রতিষ্ঠান শাখা সরকারি শিশু পরিবার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক-১, সহকারী পরিচালক-১, সমাজসেবা অফিসার সদর দপ্তর পর্যায়ে এবং মাঠপর্যায়ে তত্তাবধায়ক/উপ-তত্ত্বাবধায়ক সরকারি শিশু পরিবার পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ মাঠ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। জেলা পর্যায়ে  প্রতিষ্ঠিত শিশু পরিবারগুলির জন্য সংশ্লিস্ট জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে এবং উপজেলা পর্যায়ে  প্রতিষ্ঠিত শিশু পরিবারগুলির জন্য সংশ্লিস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক/উপ-তত্ত্বাবধায়ক উক্ত কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিফতরের নেতৃত্বে সরকারি শিশু পরিবারের ভর্তি কমিটি শিশুদের ভর্তির ব্যবস্থা করে থাকে।

সেবা:

১৮ বছর  বয়স কিংবা এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ পর্যন্ত এতিম শিশুদের প্রতিপালন

পারিবারিক পরিবেশে স্নেহ-ভালবাসা ও আদর-যত্নের সাথে লালন পালন

শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান

নিবাসীদের শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিক উৎকর্ষতা সাধন

পুনর্বাসন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা


সেবা গ্রহীতা:

৬-৯ বছর বয়সী এতিম অর্থ্যাৎ পিতৃহীন বা পিতৃমাতৃহীন দরিদ্র শিশু।


সেবাদান কেন্দ্র:

জেলা সদর ও কিছু কিছু উপজেলায় অবস্থিত ৪৩টি বালক, ৪১টি বালিকা ১টি মিশ্র সর্বমোট মোট ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবার রয়েছে। শিশু পরিবারসমূহের তালিকা ডাউনলোড করুন।

সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে):

নির্ধারিত ফরমে ৬-৯ বছরের এতিম শিশুর অভিভাবকরা আবেদনপত্র দাখিল করবেন। প্রাপ্ত আবেদনপত্রের খসড়া তালিকা প্রস্ততপূর্বক তত্ত্বাবধায়ক/উপতত্ত্বাবধায়ক ভর্তি কমিটির সভা আহ্বান করেন। সভায় নিবাসি নির্বাচনপূর্বক আবেদনকারীকে অবহিত করার মাধ্যমে ভর্তি করে এতিম নিবাসি শিশুকে ১৮ বছর বয়স কিংবা এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ  পর্যন্ত ভরণ-পোষণ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়।

কার্যাবলি:

প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে অভিভাবক কর্তৃক  নির্ধারিত ফর্মে সংশ্লিষ্ট শিশু পরিবারে অথবা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদন দাখিল;

সিভিল সার্জন বা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদকারী এতিম শিশুর বয়স ও স্বাস্থ্যগত অবস্থা যাচাই;

ভর্তি কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদন

বিনামূল্যে এতিম শিশু ভর্তি;

শিশুদের ভরণপোষণ, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং উপযুক্ত মর্যাদায় সমাজে পুনর্বাসন


সংশ্লিষ্ট আইন/বিধি/ নীতিমালা:

১. সরকারি শিশু সদন / শিশু পরিবার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০২

২. শিশু আইন ২০১৩

নাগরিকদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র:

শিশু পরিবার পরিচালনায় কোন ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা;

যাকাত, ফিতরা, দানসহ ইত্যাদি আর্থিক সহায়তা করা;

শিশুদের শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে নানামুখী সহযোগিতা;

শিশুর পুনর্বাসনে আর্থিক ভাবে, চাকরি প্রদানের মাধ্যমে বা তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করা;

শিশুদের প্রতি সহমর্মি আচরণ করা;

শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে যে কোন ধরণের সহযোগিতা।


সেবা প্রদানের সময়সীমা:

শিশু পরিবারে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ১ মাস

শিশু ভর্তি হওয়ার পর অন্যান্য সেবা শিশুর বয়স ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত কিংবা এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ পর্যন্ত


বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ:

সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/উপ-তত্ত্বাবধায়ক, সরকারি শিশু পরিবার;

 

 

 

ক্যাপিটেশন গ্রান্ট

ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশের জনগণ অবহেলিত দুঃস্থ এতিম শিশুদের প্রতিপালনের দায়িত্ব গ্রহণে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের সকল ধর্মীয় মতালম্বী জনগনই এতিম শিশুদের লালনপালনের জন্য বেসরকারিভাবে এতিমখানা পরিচালনা করে আসছে। বেসরকারি এসকল এতিমখানা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমাজসেবা অধিদফতর হতে সহযোগিতা প্রদান করা হয়। বেসরকারিভাবে এতিমখানাসমূহ প্রথমতঃ স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুযায়ী নিবন্ধন প্রদান এবং পরবর্তীতে নিবন্ধন প্রাপ্ত বেসরকারি এতিমখানাসমূহের শিশুদের প্রতিপালন, চিকিৎসা এবং শিক্ষা প্রদানের জন্য আর্থিক সহায়তা করা হয়, যা ক্যাপিটেশন গ্রান্ট নামে পরিচিত। বর্তমানে ৪ হাজার ১২ টি বেসরকারি এতিমখানার ১ লক্ষ জন এতিম শিশুকে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রদান করা হচ্ছে। দরিদ্র এতিম শিশুদের মানবসম্পদে পরিনত করাই ক্যাপিটেশন গ্রান্টের প্রধান উদ্দেশ্য।

বর্তমান সরকারের আমলে “বেসরকারি এতিমখানায় ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বরাদ্দ ও বণ্টন নীতিমালা ২০১৫” প্রণয়ন করা হয়। ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট প্রদানে আর্থিক শৃঙ্খলা সুসংহত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতর পর্যায়ে নিবিড় তদারকি এবং মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। আশা করা যায়, এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের এতিম শিশুদের প্রতিপালনে বেসরকারি পর্যায়ে উৎসাহব্যাঞ্জক সাড়া সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টপ্রাপ্ত বেসরকারি এতিমখানার উন্মুক্ত স্থানে নাম ফলক লাগানো হয়েছে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও সমমান শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের নিবাসিদের দ্বারা নিয়মিত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হচ্ছে। বেসরকারি এতিমখানায় ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বরাদ্দ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ।

কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যক্রম শাখা বেসরকারি এতিমখানার নিবন্ধন প্রদান করে এবং প্রতিষ্ঠান শাখা ক্যাপিটেশন গ্রান্ট পরিচালনা করে। পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, সমাজসেবা অফিসার সদর দপ্তর পর্যায়ে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট কার্যক্রম পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট। জেলা পর্যায়ে উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, রেজিস্ট্রেশন অফিসার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এবং শহর সমাজসেবা অফিসার মাঠ পর্যায়ের বেসরকারি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্রান্ট কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন।

 

সেবা

১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এতিম শিশুদের প্রতিপালনের জন্য বেসরকারি এতিমখানায় আর্থিক অনুদান প্রদান;

স্নেহ-ভালবাসা ও আদর-যত্নের সাথে লালন পালন নিশ্চিতকরণ;

আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান নিশ্চিতকরণ;

শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিক উৎকর্ষতা সাধন নিশ্চিতকরণ;

শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তা প্রদান;

পুনর্বাসন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

 

অর্থবছরভিত্তিক ক্যাপিটেশন গ্রান্ট এর হিসাব

দেশের অসহায় এতিম শিশুদের কল্যাণে সরকারি উদ্যোগে বেসরকারি এতিমখানা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আনুমানিক ৬০ (ষাট) দশকের গোড়ার দিকে নিবাসি প্রতি মাথাপিছু মাসিক ৩৬০/- টাকা হারে অনুদান (ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট) প্রদান করে আসছে। সমাজসেবা অধিদফতর র্কতৃক নিবন্ধকৃত বেসরকারি এতিমখানার নীতিমালার ৭.১২ এর আলোকে নূন্যতম ১০ (দশ) জন এতিম অবস্থান করে এই রকম প্রতিষ্ঠানকে র্সবোচ্চ ৫০% এতিমের জন্য ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে। ২০১৯-২০২০ র্অথ বছর হতে নিবাসিদের মাথাপিছু মাসিক ২,০০০/- টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়, যার বিভাজন: খাদ্য বাবদ ১৬০০/-, পোষাক বাবদ ২০০/- এবং চিকিসা ও অন্যান্য বাবদ ২০০/- টাকা।

বিগত ১৯৯১-১৯৯২ হতে অদ্যাবধি ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বরাদ্দ সংক্রান্ত তথ্য নিম্নে দেওয়া হলোঃ 

 

অর্থ বৎসর

ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা

নিবাসী সংখ্যা

অর্থের পরিমাণ

মাথাপিছু মাসিক বরাদ্দ

১৯৯১-১৯৯২

৭৫০

৮,৪৭৮

৩,৬৬,২৮,০০০

৩৬০/- হারে

১৯৯২-১৯৯৩

৭৫০

৮,৪৭৮

৩,৬৬,২৮,০০০

-ঐ-

১৯৯৩-১৯৯৪

৮২০

১১,৫৭৪

৫,০০,০০,০০০/-

-ঐ-

১৯৯৪-১৯৯৫

১,০১৫

১৭,৮১২

৮,৫৫,০০,০০০/-

৪০০/- হারে

১৯৯৫-১৯৯৬

১,০৯০

১৭,৮১২

৮,৫৪,৯৭,৬০০/-

-ঐ-

১৯৯৬-১৯৯৭

১,১৬৫

১৮,৭৫০

৯,০০,০০,০০০/-

-ঐ-

১৯৯৭-১৯৯৮

১,৩০৭

২০,৩১২

৯,৭৪,৯৭,৬০০/-

-ঐ-

১৯৯৮-১৯৯৯

১,৩৮১

২১,৫৭৬

১০,২৫,০০,০০০/-

-ঐ-

১৯৯৯-২০০০

১,৩৬৪

২২,১৮৭

১০,৬৪,৯৭,৬০০/-

-ঐ-

২০০০-২০০১

১,৪১২

২৩,১২২

১১,০৯,৮৫,৬০০/-

-ঐ-

২০০১-২০০২

১,৫৫৭

২৩,৯৫৮

১১,০৯,৮৫,৬০০/-

-ঐ-

২০০২-২০০৩

১,৯৩০

২৫,৮৩৩

১২,৪০,০০,০০০/-

-ঐ-

২০০৩-২০০৪

২,২০৫

২৯,১৬৬

১৩,৯৯,৯৬,৮০০/-

-ঐ-

২০০৪-২০০৫

২,৪৫৭

৩৩,৩৩৩

১৬,০০,০০,০০০/-

-ঐ-

২০০৫-২০০৬

২,৬২৯

৩৭,৫০০

১৮,০০,০০,০০০/-

-ঐ-

২০০৬-২০০৭

২,৭৭১

৩৯,৫৮৩

১৯,০০,০০,০০০/-

-ঐ-

২০০৭-২০০৮

২,৮১৫

৪২,৬৯৪

৩০,৭৪,০০,০০০/-

৬০০/- হারে

২০০৮-২০০৯

৩,০২২

৪৬,৯৫০

৩৭,৮০,০০,০০০/-

৭০০/- হারে

২০০৯-২০১০

৩,০৭৪

৪৮,৩৯০

৪০,৩২,০০,০০০/-

-ঐ-

২০১০-২০১১

৩,১৯২

৫০,৫৫০

৪২,০০,০০,০০০/-

-ঐ-

২০১১-২০১২

৩,৩১৯

৫২,৫৭২

৬৩,০০,০০,০০০/-

১০০০/- হারে

২০১২-২০১৩

৩,৩৭০

৫৫,০৫৬

৬৬,০০,০০,০০০/-

-ঐ-

২০১৩-২০১৪

৩,৪৪১

৫৯,৬২৯

৭১,৪০,০০,০০০/-

-ঐ-

২০১৪-২০১৫

৩,৪৭৮

৬৩,০০৭

৭৫,৬০,০০,০০০/-

-ঐ-

২০১৫-২০১৬

৩,৫২২

৬৭,০৬৬

৮০,৪৮,০০,০০০/-

-ঐ-

২০১৬-২০১৭

৩,৭১০

৭২,০০০

৮৬,৪০,০০,০০০/-

-ঐ-

২০১৭-২০১৮

৩,৮১৬

৮৬,৪০০

১০৩,৬৮,০০,০০০/-

-ঐ-

২০১৮-২০১৯

৩,৮৮৬

৮৭,৫০০

১০৫,০০,০০,০০০/-

-ঐ-

২০১৯-২০২০

৩,৯২৮

৯৬,৬৭৬

২৩২,০২,২৪,০০০/-

২,০০০/-

 ২০২০-২১              ৪০১২                                              ১,০০,০০০           ২৪০,০০০০০০০/-                 ঐ

 

সেবা গ্রহীতা

বেসরকারি এতিমখানার ৬-১৮ বছর বয়সী এতিম অর্থ্যাৎ পিতৃহীন বা পিতৃমাতৃহীন দরিদ্র শিশুর শতকরা ৫০ ভাগ ।

 

সেবাদান কেন্দ্র

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও শহর সমাজসেবা কার্যালয় এবং

দেশব্যাপি প্রায় ৪ হাজার ১২ টি বেসরকারি এতিমখানা।

 

আইনগত ভিত্তি

শিশু আইন ২০১৩

স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৬১

স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধি ১৯৬২

এতিম ও বিধবা সদন আইন ১৯৪৪

 

 

সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে)

বেসরকারি এতিমখানাটিকে সমাজসেবা অধিদফতরের নিবন্ধিত হতে হবে এবং এতিমখানাটিতে ন্যূনতম ১০ জন ৬-১৮ বছরের এতিম নিবাসি থাকতে হবে। ১০০% নিবাসি প্রাথমিক / মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত সাপেক্ষে শতকরা ৫০ ভাগ শিশু এ সেবার আওতায় আসবে। নির্ধারিত ফরমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সচিব সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর ৩১ জুলাই এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কার্যালয়ে আবেদন দাখিল করতে হয় । ১০ আগস্টের মধ্যে উপজেলা অফিস হতে জেলায় এবং ২৫ আগস্টের  মধ্যে জেলা কার্যালয়  হতে অধিদফতরে (প্রতিষ্ঠান অধিশাখায়) বেসরকারি এতিমখানার তথ্য প্রেরণ নিশ্চিত করতে হয়। অতঃপর অধিদফতর হতে ১৫ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ নিশ্চিত করতে হয় । সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই পূর্বক মনোনিত বেসরকারি এতিমখানার বিপরীতে বরাদ্দপত্র অধিদফতর বরাবর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রেরণ করা হয়। অধিদফতর কর্তৃক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দপত্র প্রেরণ করা হয়। প্রাপ্ত বরাদ্দের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান  সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা অফিসারের নিকট বিল দাখিল করলে তা যাচাই বাছাইপূর্বক  বিলগুলি অনুমোদন করে তা উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার এর নিকট পৌছানো হয়। হিসাব রক্ষণ অফিস কর্তৃক বিল পাশ করার পর তা উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের দাপ্তরিক হিসেবে জমা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সংশ্লিষ্ট এতিমখানার সভাপতি/ সম্পাদকের অনুকূলে ক্রস চেকের মাধ্যমে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট হস্তান্তর করেন।

 

কার্যাবলি

এতিমখানা তৈরী ও স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুযায়ী নিবন্ধন;

নির্ধারিত ফরমে উপজেলা সমাজসেবা/শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে অবেদন;

সিভিল সার্জন বা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনকারী এতিম শিশুর বয়স ও স্বাস্থ্যগত অবস্থা যাচাই;

ভর্তি কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদন;

বিনামূল্যে এতিম শিশু ভর্তি;

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রাপ্তির জন্য আবেদন;

সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা কর্মকর্তার কর্তৃক এতিমখানা জরিপ, প্রতিবেদন পরিদর্শন ও সুপারিশসহ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রেরণ;

উপপরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সুপারিশসহ অধিদফতরে প্রেরণ;

সকল জেলা থেকে প্রাপ্ত আবেদনের সমন্বিত প্রস্তাব সুপারিশসহ অধিদফতর হতে মন্ত্রণালয়ের ক্যাপিটেশন গ্রান্ট বরাদ্দ কমিটিতে প্রেরণ;

ক্যাপিটেশন গ্রান্ট বরাদ্দ কমিটি কর্তৃক বরাদ্দ প্রদান/ আবেদন খারিজ/ পূর্বতন বরাদ্দ পরিবর্তন/ পরিবর্ধন;

এতিম শিশুদের ভরণপোষণ, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং উপযুক্ত মর্যাদায় সমাজে পুনর্বাসন।

 

নাগরিকদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র

বেসরকারি এতিমখানা পরিচালনায় কোন ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা;

যাকাত, ফিতরা, দানসহ ইত্যাদি আর্থিক সহায়তা করা;

শিশুদের শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে সহযোগিতাকরণ;

শিশুর পুনর্বাসনে আর্থিক ভাবে, চাকরি প্রদানের মাধ্যমে বা তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করা;

শিশুদের প্রতি সহমর্মি আচরণ করা;

শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে যে কোন ধরণের সহযোগিতা।

 

সেবা প্রদানের সময়সীমা

বেসরকারি এতিমখানা কর্তৃক ক্যাপিটেশন গ্রান্টের আবেদন প্রাপ্তির পর ৭ মাস।

 

যার সাথে যোগাযোগ করতে হবে

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, সকল উপজেলা

শহর সমাজসেবা কার্যালয় (সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পর্যায়ের পৌরসভার ক্ষেত্রে)